বাংলা সেক্স স্টোরি – বরযাত্রী – ১
This story is part of a series:
Bangla sex story আজ হিতেসের বিয়ে ৷ বলাগড় থেকে হাসনাবাদ ৩ ঘন্টার রাস্তা ৷ হাসনাবাদের বাসনপত্রের ব্যবসায় পসার করা কালাচান্দ কিশোরীলাল এর ছোট মেয়ে মেধার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে হিতেসের ৷ হিতেসের কাপড়ের ব্যবসা ৷ তার প্রভাবসালীও কম নয় ৷ বলাগরে এক ডাকে হিতেস বানসাল কে কে না চেনে ৷ তার সৌরুম আর দোকান মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি ৷ কিন্তু মাত্র ২২ বছরেই বাড়ির ছেলে কে বিয়ে দিতে প্রস্তুত হয়েছেন আভা দেবী ৷
ছোট ছেলে রিতেস কে পাশে নিয়ে বসেছেন ডিলাক্স বাসে ৷ অনেক দুরের রাস্তা ৷ সামনের হোন্ডা গাড়িতে হিতেস আর তার মামা , বড় বোন, আর এক বন্ধু অনুজ ৷ বাসে ৫০ জনের বর যাত্রীতে বাস মই মই করছে ৷ যাত্রা শুরু হতেই কচি কাঁচার দল বাসের পিছনে চলে গেল ৷ বাসের গাইড এলাকারই পুরনো ছেলে সুরাজ ৷ সে হিতেসের দোকানেই কাজ করে ৷ আভা দেবী হিতেসের মা হলেও তার শরীরের অন্য আকর্ষণ ৷ আর চল্লিশোর্ধ মহিলার কড়া মেজাজ আর হম্বিতম্বি তে যেকোনো পুরুষ মানুষ ভয় পেয়ে যায় ৷ বানসাল পরিবারের উনি একরকম অলিখিত কত্রী ৷
সুরাজ ড্রাইভার এর পাশে বসে সিগারেট খেতে খেতে গল্প শুরু করলো ৷ ড্রাইভার-এর কেবিন ঘেরা তাই সেখানে সবার প্রবেশ নেই ৷ ধুলাগর থেকে বেরিয়ে বাসটা সীতাপুর এসে পৌছালো ৫ মিনিটে বরের গাড়ির পিছু পিছু৷ বাসের মধ্যে গানের লড়াই আর গল্পের ঝর উঠেছে ৷ কারোর কোনো খেয়াল নেই বিয়ের আনন্দে মশগুল পরিবার তাদের একাত্ম আনন্দে মেতে উঠেছে ৷ আজমলগর একট পির বাবার দরগা ৷ এখানে সব বাস দাঁড়ায় ৷ সবাই নিজের মনোকামনা বলে ৷ তাদের যাত্রা শুভ হয় সেটাই এখানকার লোকের বিশ্বাস ৷
এখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি নিয়ে বর প্রনাম করে হাসনাবাদ রওনা দেবে ৷ বড়রা পাশে চায়ের দোকান থেকে চা খেয়ে , সিগারেট খেয়ে আবার বাসে উঠলো ৷ রিতেস হিতেসের ভাই হলেও একটু মা ঘেষা ৷ ১৭-১৮ বছরেও সে মাকে একরে রাখে নিজের কাছে ৷ একটু মেয়েলি মেয়েলি মনে হয় সময় সময় ৷ আর এর জন্য আভাদেবির অবদান কম নয় ৷ হিতেসের বাবা নেই , আর বেশ ভূসা তে আভা দেবী কে বিধবা ভাবার কোনো কারণ নেই ৷ হিতেস এর এক কাকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে আভা দেবীর কিন্তু তা কেউ জানে না৷ হিতেসের কাকা প্রবীন বাসের অন্যতম পরিচালক ৷
মিনিট ২০ বাদেই মাঝখানে ঘন জঙ্গল পড়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ৷ সবাই এই জঙ্গলটা বুধিয়ার জঙ্গল বলেই জানে ৷ অনেক আগে বুধিয়া বলে হাত কাটা এক ডাকাত এখানে অনেক জন প্রিয় হয়ে পড়ে ৷ এই জঙ্গলে সে ১৫ বছর তার ডাকাত সাম্রাজ্য চালিয়েছে ৷ তবে এখন সে সব কিছুই নেই৷ এই জঙ্গল এখন ফরেস্ট রেঞ্জারদের হাতে ৷ এখানে হরিন , বরাহ , ময়ুর আর কিছু হায়না আছে ৷ রিতেসের কাকাত বোন সুমি রিতেসকে খ্যাপায় ৷
তাদের দুজনের মধ্যেই তুমুল ঝগড়া চলছে ৷ বয়স্করা বিজ্ঞ আলোচনায় মত্ত ৷ প্রবীনের সাথে আভাদেবি মত্ত অন্তরঙ্গতায় ৷ রিতেস আর আভাদেবি যদিও দুই সিটের একটায় বসেছেন আর প্রবীন বসেছেন সামনের দুই সিটের ডানদিকে ৷ বা দিকে আরো এক বয়স্ক ভদ্র মহিলা ৷ হিতেসের আত্মীয় ৷ ঘ্যাচ ! করে বিকট শব্দ করে বাস থেমে গেল ৷ সামনের বরের হোন্ডা গাড়িতে ২-৩ টে লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘিরে রেখেছে ৷ এরা কে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না ৷ সুরাজ ড্রাইভার কে জিজ্ঞাসা করলো কি ব্যাপার ! ড্রাইভার চিত্কার করে সবাইকে সাবধান করলো ” ডাকাত পরেছে সবাই সাবধান গাড়ি ছেড়ে কেউ বাইরে যাবেননা ৷ ”
দুটো গাড়ির সামনে একট লোক বড় দোনলা রাইফেল তাক করে দাঁড়িয়ে আছে ৷ সুরাজ সবাইকে পুলিশে ফোনে করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ এই রাস্তায় সন্ধ্যের পর বিশেষ গাড়ি চলাচল করে না ৷ জঙ্গলের একটা ব্যাকের মাটির রাস্তায় দুটো গাড়ি নিয়ে যেতে ইশারা করলো ৷ এই মাটির রাস্তা ধরে জঙ্গলের কিছু আদিবাসী গ্রামে যাওয়া যায় ৷ বরের গাড়িতে ঠেলে রিভালবার নিয়ে একজন উঠে গেল ৷
বাসের ভিতরে থম থমে ৷ সবাই উদিগ্ন হয়ে ভয়ে বসে আছে ৷ মহিলারা গয়না টাকা পয়সা লুকাতে ব্যস্ত ৷ কিন্তু বাসে লুকোবে বা কোথায় !মিনিট ৪ বরের গাড়ি ফললো করতে একটা ফাঁকা নদীর বাকে এসে পৌছালো সবাই ৷ চারিদিক ঘন বন আর টিলা দিয়ে ঘেরা জায়গা ৷ দুটো গাড়ি পৌছতেই আরো ৭-৮ জন সেখানে অপেখ্যা করছিল ৷ সবার হাতেই পিস্তল আর মুখগুলো বাঁধা কালো কাপড় দিয়ে ৷ বাচ্ছাদের পিছনে বসে বড়রা ও মহিলারা তাদের আগলে রইল ৷
পুরুষরা বাসের সামনের দিকে ৷ সবাইকে সুরাজ পুলিশে ফোন করতে মানা করলো ৷ কারণ বরের ঘাড়ে বন্দুক রাখা আছে ৷ ঠিক হলো যাই কিছু হোক কেউ নিচে নামবে না বাস থেকে ৷ এরকম অভিজ্ঞতায় কি করা উচিত তা কারোরই জানা নেই ৷ ১০-১২ জনের মধ্যে একজন ডাকাত বাসের কাছে টোকা দিয়ে দরজা খুলতে বলল ৷ সুরাজ জিজ্ঞাসা করলো কি করবে ড্রাইভার কে ! ড্রাইভার বলল ” খুলে দিন নাহলে গুলি গলা চালাবে তাতে আরো ক্ষতি , প্রাণ বাচলে সব বাচবে ৷ ”
সুরাজ আসতে দরজা খুলতেই একজন বোধ হয় সেই নেতা বা সর্দার, বন্দুকের বাট দিয়ে সুরাজের মাথায় মারতেই গল গল করে মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে লাগলো ৷ ” সবাই চুপ চাপ থাক , সবাকার মোবাইল ফোন এই ব্যাগে দিয়ে দাও !কথা শুনলে আমরা তোমাদের কোনো ক্ষতি করব না ৷ ” আরেকজন একটা ব্যাগ নিয়ে ঘুরে ঘুরে বাস থেকে মোবাইল ফোন গুলো নিয়ে নিচে নেমে গেল ৷ যারা দিতে চাইছিল না তাদের চর থাপ্পর মেরে ভোজালি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারার উপক্রম করছিল ৷
Comments