Bangla Golpo Choti – রতিঃ এক কামদেবী নিরবধি – ১১৯
(Bangla Golpo Choti - Roti Ek Kamdebi Nirbodhi - 119)
This story is part of a series:
Bangla Golpo Choti – রতির জীবনে নতুন পুরুষের আবির্ভাব
রতিঃ হ্যালো, বাবা, আমি রতি…কেমন আছেন বাবা?
সুলতানঃ ভাল আছি মা… তোমরা সবাই কেমন আছো? খলিল কোথায়? অফিসে?
রতিঃ না, বাবা, ও আজ সকালে একটা মিটিঙের জন্যে ইন্ডিয়া গেছে, কাল সকালে ফিরে আসবে…
সুলতানঃ আকাশ ভালো আছে? ছেলেটা ইদানীং একদম ফোন করে না আমাকে…
রতিঃ ও ভালো আছে বাবা… সামনেই পরীক্ষা, তাই ব্যাস্ত থাকে সব সময় লেখাপড়া নিয়ে… আপনার শরীর ভালো তো বাবা?
সুলতানঃ এই বয়সে আর ভালো থাকা কি যায় মা? একাকি জীবন কাটছে…না আছে কথা বলার কেউ, না আছে মনের কথা বলার সঙ্গী।
রতিঃ আমাকে বলেন বাবা, আমি শুনবো আপনার সব কথা… আপনার ছেলে বলে গেছে আপনাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসতে… এইবার এলে আমি আর আপনাকে ও বাড়িতে যেতে দিবো না, বাকি দিনগুলি আমাদের সাথেই কাটান আপনি… আপনার ছেলে ও এটাই চায়…
সুলতানঃ তোমাদের কি আর অতো সময় আছে, আমার মত বুড়োকে দেয়ার মত… আর তাছাড়া বুড়ো মানুষের কথা শুনলে আজকাল ছেলে মেয়েরা বিরক্ত হয়।
রতিঃ কেন বাবা, এমন কেন বলছেন? দিনা কি আপনার সেবা করে না, আপনার কথা শুনে না? (দিনা হচ্ছে রতির জা, মানে খলিল সাহেবের ছোট ভাইয়ের বউয়ের নাম)
সুলতানঃ না না, ওটা বলি নি… এমনিতে বেশ যত্ন করে দিনা… কিন্তু মা, এই বয়সে একজন ভালো সঙ্গী না হলে বুড়ো মানুষের সময় যে কাটে না… আর কিছু না হোক, কথাটা তো বলা যায়। আর তাছাড়া আমার এমন কিছু সেবার দরকার হয়, সেসব তো আর ছেলের বউদের বলা যায় না। নিজের বউ হলে বলা যেতো…
রতিঃ সেই জন্যেই বলছি…আপনি এইবার এলে, আমি থাকবো সব সময় আপনার সঙ্গে সঙ্গে… আপনার সব সেবা করবো আমি…যদি আমার সেবা পছদন না হয়, তাহলে আপনি আবার দিনার কাছে চলে যাবেন, আর যদি পছন্দ হয়, তাহলে থেকে যাবেন আমার কাছে… আপনার ছেল ও চায় যেন আমি আপনার সব রকম সেবা করি… আপনার যা যা চাহিদা আছে, সব পুরন করি… কবে আসবেন বাবা?
সুলতান; আসতে বলছো যখন আসবো…আর খোকা যখন বলেছে, তখন কিছুদিনের জন্যে হলে ও যাবে তোমাদের বাড়ি। কিন্তু খোকা তোমাকে আমার কি রকম সেবা করতে বলেছে, সেটা একটু খুলে বলো তো শুনি…
রতিঃ বলেছে আপনার সব কাজ যেন আমি নিজের হাতে করি, কাজের লোকদের দিয়ে না করাই…বলেছে বাবার বয়স হয়েছে, এখন যেন তিনি কোন কিছু পাচ্ছেন না ভেবে মন খারাপ না করেন, মনের কোন চাহিদা যেন অপূর্ণ না থাকে উনার…আমি তো ঠিক করে রেখেছি, আপনার রুমে কোন কাজের লোককেই ঢুকতে দিবো না এবার…সব কাজ সব সেবা আমি একাই করবো…দেখবেন, দিনার চেয়ে ও অনেক বেশি সেবা করতে পারব আমি…আপানার ছেলে ও এটাই চায়…
সুলতানঃ মনের চাহিদা তো তোমার সাথে কথা বললেই শেষ হয়ে যাবে রে মা…কিন্তু এই মরার শরীরটা নিয়ে হয়েছে বিপদ। এটা যেন এখন ও ৩০ বছরের যুবকের মত আচরন করতে চায় মাঝে মাঝে… তখনই সমস্যা হয়ে যায়… ওই সব সমস্যার সমাধান তো আর ছেলের বউয়ের কাছে চাওয়া যায় না, বা খোকা শুনলেই বা কি বলবে…আমার বৌ বেঁচে থাকলে বা ভালো গতরের কোন কাজের মহিলা থাকলে আমার ওই সব সমস্যা ও আর থাকতো না…
রতিঃ না না বাবা, কাজের লোকদের কাছে সমস্যা নিয়ে গেলে ওরা আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারে, আর রোগ হয়ে যাওয়ার ভয় তো থাকেই…আপনি ওসব নিয়ে চিন্তা করবে না…আমি আছি না…
সুলতানঃ তুমি তো আছো…কিন্তু তুমি তো আমার ছেলের বৌ…সব কথা, সব সমস্যা কি আমি তোমাকে বলতে পারি? আর খোকা শুনলে ও তো রাগ করতে পারে?
রতিঃ ওসব নিয়ে আপনি একদম চিন্তা করবেন না বাবা, আপনার ছেলে অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে, আপানার সেই খোকা আর আগের মত নেই…আপনার ছেলে আপনাকে প্রানের চেয়ে ও বেশি ভালোবাসে…তাই চায় আপনার জীবনের শেষ দিনগুলি যেন আমি আপনার কোন সাধ আহলাদ অপূর্ণ না রাখি…অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে আপনার খোকা। আপনি দেখলেই বুঝবেন… ওর শিশু সুলভ মনে বাবার কষ্ট দূর করার চেয়ে বড় ধর্ম আর কিছু নেই এখন।
সুলতানঃ কিন্তু আগে তো খোকা তোমাকে আমার কাছে ঘেঁষতে দেখলেই রাগী চোখে তাকাতো, আমাকে ও বলে দিয়েছিল যেন তোমার সাথে বেশি ঢলাঢলি না করি, এখন আবার খোকাই চাইছে যেন তুমি আমার সব কাজ করো…কেমন যেন লাগছে, বুঝতে পারছি না তোমার কথা ঠিকভাবে বউমা।
রতিঃ আপনি এলেই বুঝতে পারবেন, আপনার সেই ছেলেই এখন চায়, যেন আমি আপনার সব সেবা করি। আর আপনার খোকা এখন আর খোকা নেই, বড় হয়ে গেছে, মাথায় কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি ও হয়েছে…আর আপনার যা দরকার সেগুলি কি আপনি ওখানে পাচ্ছেন, বাবা?
সুলতানঃ না বউমা, কোথায় আর পাবো… দিনা এমনিতে বেশ ভালো… একটু খোলামেলা কাপড় পড়ে আমার সামনে, তাতে হয়ত চোখের ক্ষুধা মিটে, কিন্তু তুমি তো আমার সামনে ও খুব ঢেকেঢুকে চলাফেরা করো… আমাকে একটু বেশিই লজ্জা করো তুমি…
রতিঃ এইবার আসলে দেখবেন, আমি কি রকম কাপড় পড়ি! দিনার চেয়ে একটু ও কম পাবেন না আমার কাছ থেকে, আরও বেশি সেবা পাবেন, বাবা…আপনাকে কথা দিলাম আমি…
সুলতানঃ কিন্তু সব সেবা কি করতে পারবে, মা?
রতিঃ পারবো বাবা, দেখবেন, প্রথম প্রথম হয়ত সব পারবো না, কিন্তু আমি চেষ্টা করবো বাবা, ধীরে ধীরে দেখবেন একদিন সবটাই পেরে যাবো…আপনাকে সব রকমভাবে সুখী করতে চেষ্টার ত্রুটি পাবেন না আমার কাছে।
সুলতানঃ ঠিক আছে মা, তুমি যখন এতো করে বলছো, তখন আসবো…তবে তুমি ও এই বুড়োর দিকে একটু খেয়াল রেখো…আমা কষ্টের কথা তো খোকা ভালো জানে…ওই কষ্ট দূর হলে আর আমার কোন হতাশা থাকবে না মা…
Comments