Bangla Golpo Choti – রতিঃ এক কামদেবী নিরবধি – ৪১
(Bangla Golpo Choti - Roti Ek Kamdebi Nirbodhi - 41)
This story is part of a series:
এর চেয়ে এখন রুমে ঢুকে ওর পাশে বসে কথা বলে পরিস্থিতিটাকে শান্ত করে ছেলেকে বুঝিয়ে বলার জন্যে এটাই মোক্ষম সময়। তাই সে পিছন ফিরে দরজা বন্ধ করে ধীরে এগিয়ে এলো ছেলের দিকে।
“আব্বু! আব্বু!…আমি…আমি…”-তোতলাচ্ছে আকাশ, ও ভাবলো আজ বুঝি ভালো মার আছে ওর কপালে, ওর আব্বু এসব দেখে দরজা বন্ধ করে ওর দিকে আসছে, এর মানে কপালে আজ খারাপি আছে ওর, যদি ও সেই ছোট বেলার পড়ে ওর আব্বু কোনদিন ওর গায়ে হাত তুলেছে কি না মনে করতে পারছে না আকাশ।
ওর বাড়াটা এখন ও ওর হাতের মধ্যে টাওয়াল দিয়ে ঢাকা, যদি ও ভয়ের কারনে ওটা কিছুটা নেতিয়ে গেছে। খলিল কাছে গিয়ে ছেলের পাশে বসলো, আর গলা খাকারি দিলো একটু নিচু স্বরে।
“শুন, আকাশ আমি তোর উপর রাগ করি নি, তুই যা করছিলো, সেটা আমি বুঝতে পারছি…আসলে এই বয়সে এটাই স্বাভাবিক, তাই তোকে এই অবস্থায় দেখে আমি মোটেই রাগ করি নি…তবে এই নিয়ে তোর সাথে আমি কথা বলতে চাই”-খলিল সাহেব যদি ও বুঝতে পারছিলেন না যে কিভাবে কথা শুরু করবেন, কিন্তু কথা শুরু না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।
“আব্বু, আমি স্যরি…আমার এসব করা উচিত হয় নি…”-আরও কিছু বলার চেষ্টা করছিলো আকাশ, কিন্তু খলিল সাহবে ওকে থামিয়ে দিলেন। খলিল সাহেব একটা হাত রাখলেন ছেলের কাধে, যেন ওকে আশ্বস্ত করতে চাইলেন।
“শুন, তোকে ব্যাখ্যা দিতে হবে না…আর স্যরি বলার ও কিছু নেই…যৌনতা মানুষের একটা অন্যতম চাহিদা, খাদ্য, বাসস্থানের মত একটা মৌলিক চাওয়া…এটা পূরণ করতেই মানুষ বিয়ে করে। তবে যতদিন বিয়ে না করতে পারে, তখন পুরুষ মানুষের জন্যে মাস্টারবেট ছাড়া অন্য উপায় তেমন একটা নেই…এই বয়সের সব ছেলেরাই মাস্টারবেট করে, মাঝে মাঝে এটা করলে ভালোই হয়, শরীর মন ফ্রেস হয়ে যায়…কিন্তু ঘন ঘন এটা করলে খুব খারাপ হয়…অল্প বয়সে বেশি বার মাস্টারবেট করলে যৌন ক্ষমতা কমে যায়…সেটা নিশ্চয় তুই চাস না…”-খলিল সাহেব ধীরে ধীরে কথা বলার মত আত্মবিশ্বাস ও যুক্তি যেন পেয়ে যাচ্ছিলেন।
“তুমি রাগ করো নি, আব্বু? আমাকে এসব করতে দেখে?”-আকাশ বেশ অবাক হলো ওর আব্বুর আচরনে।
“না রে…একবারই তো বললাম…এটাতে দোষের কিছু নেই…যৌন উত্তেজনা প্রসমনের চেষ্টা করা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি…তুই ও তাই করছিস…কিন্তু আমাকে দেখা তো কি দেখে তুই মাস্টারবেট করছিলি?”-খলিল সাহেব বেশ হাসিখুসি মুডে চলে গেলেন আকাশের সাথে কথা বলতে বলতে।
আকাশ খুব লজ্জা পাচ্ছিলো ওর আব্বুর সাথে এই নিয়ে কথা বলতে। এর উপর এখন ও কি দেখে মাস্টারবেট করছে, সেটা দেখতে চাইছে। আকাশ কোন জবাব দিলো না, কিন্তু খলিল সাহেব তো দেখেছে, ল্যাপটপে কিছু একটা দেখতে দেখতেই আকাশ হাত মারছিলো।
“ল্যাপটপ খুলে দেখা, কি দেখছিলি তুই?”-খলিল সাহেব তাড়া দিলেন উনার লাজুক ছেলেকে। ছেলের পাশে বসে যেন ছোট বেলার আকাশের সাথেই কথা বলছেন খলিল সাহেব।
ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেলে বাবা মায়ের সাথে যেই মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়, এতদিন সেই দূরত্বই অনুভব করতেন খলিল সাহেব। কারণ আকাশের সব কিছুরই দেখাসুনা ওর মা করতো।
আজ ছেলের পাশে বসে ছেলেকে মাস্টারবেট করতে দেখে নিজের সহজ সাচ্ছন্দবোধ দেখানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আকাশকে যেন সেই ছোট বেলার আকাশ হিসাবে দেখতে পাচ্ছিলেন খলিল সাহেব।
What did you think of this story??
Comments